You're all caught up!
যখন চারিদিকে অন্ধকারাচ্ছন্ন। উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম; সর্বদিকেই অন্ধকার আর অন্ধকার। অন্ধকার মাথা উঁচু করে দাপিয়ে বেড়ায়। অন্ধকার মনে করে যে, আমি সবচেয়ে উত্তম, আমি সর্ব জায়গায় বিরাজমান, আমি সর্বশক্তিমান।
দীর্ঘক্ষন এই অবস্থা চলতে থাকে। হঠাৎ করে পূর্ব দিকে সূর্যের উদয় হয়। এটা সূর্যের নিজস্ব আইন; প্রতিদিন উঠে, প্রতিদিন অস্ত যায়। সূর্য ওঠার পথে কিছুই বাধা থাকে না। সূর্য অস্ত যাওয়ার পথেও কিছু বাধা থাকে না। সূর্য যতই উজ্জ্বল হতে থাকে, অন্ধকার ততই দূরীভূত হয়ে যায়। পৃথিবীর সর্বত্র বিরাজমান হয়ে যায়। সূর্য কখনো ভাবে না যে, অন্ধকারকে আমি তাড়িয়ে দেই। বরং সূর্য জানে যে আমার উদয়ই অন্ধকারের পরাজয়। এজন্যই অন্ধকারে চেয়ে আলো বেশি শক্তিশালী।
আমাদের ক্ষেত্রে ঠিক এমনটিই ঘটে থাকে।
সমাজে যখন অন্ধকার, অন্যায়, অবিচার ঘটতে থাকে; তখন অন্যায়কারীরা ভেবে থাকে যে, তারাই শক্তিশালী। তারা সর্বত্র বিরাজমান, তাদের উপরে আর কেউ নেয়। আর বাস্তবে সেটাই হয়ে থাকে। কারণ সমাজের সূর্যেরা ভাবে যে, অন্ধকার চলে গেলে তবেই আমি উদীত হব। সেজন্যই সূর্য স্বরূপ মানুষরা কখনো নিজেদেরকে প্রকাশ করতে পারে না।
বস্তুত যারা ন্যায়পন্থী, সৎকর্মশীল, ধৈর্যশীল এবং যারা নিজেরা ভাল কাজ করে এবং অপরকে ভালো কাজের উপদেশ দেয়, তারা হচ্ছে সূর্য স্বরূপ। তাদের আগমনই সমাজ থেকে অন্ধকার, অনাচার, অন্যায়, জুলুম প্রভৃতি কু-কর্ম ও সমাজবিরোধী কার্যকলাপ দূরীভূত করতে পারে। তাই সত্যপন্থীদের উচিত নিজেদের উজ্জলতা আরো বাড়ানো। নিজেদের চরিত্র, ব্যবহার, কথাবার্তা, আচরণ এবং সর্বদিক থেকে নিজেকে আরো আরো উন্নত করা। তারা নিজের চরিত্রকে যতই উজ্জ্বল করবে, সমাজ থেকে অন্যায় ততই দূরে সরে যাবে।সুতরাং এ কথা ভাবা ভুল যে, প্রথমে অন্যায় দূরীভূত করা হোক; তারপর আমরা নিজেদেরকে সঠিকভাবে গড়ে তুলবো। বরং বাস্তব এবং যুক্তিসঙ্গত কথা হল এই যে, প্রথমেই আমরা নিজেদের মধ্যে উন্নত চরিত্র, জ্ঞান ও গুণের সম্মিলনে সম্মোহনী ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলবো; যার ফলে সমাজ থেকে অন্যায়কারী এবং কুকর্মশীল ব্যাক্তিদের প্রভাব ধীরে ধীরে ক্ষীন হতে বাধ্য। এটাই হচ্ছে পৃথিবীর আইন। সূর্য আমাদের এটাই শিখিয়ে থাকে।
সমাজের প্রতিটি সৎকর্মশীলদের প্রতি আমার সনির্বন্ধ অনুরোধ এই যে, আপনারা নিজেদের জ্ঞান ও গুণের বিকাশ ও উন্নতি না করে কখনও অন্যায় দূরীভূত করার জন্য সর্বস্ব দিয়ে প্রচেষ্টা চালাবেন না। কারণ অন্যায় কিংবা কুকর্ম দূরীভূত করার আগে নিজের ব্যক্তিত্বের মধ্যে ন্যায়, সুবিচার, সৎকর্ম, ধৈর্যশীলতা, আত্মসংযম, পরোপকারিতা, সময়ানুবর্তিতা, মানুষের প্রতি সম্মান, পিতা-মাতার আনুগত্য, স্রষ্ঠার আনুগত্য প্রভৃতি গুণগুলো অর্জন করা।
আশা করি আমরা সকলে নিজেদের ব্যক্তিত্ব, গুন ও চরিত্র গঠনের মাধ্যমে সমাজ থেকে অন্যায়কে বিতাড়িত করতে পারব।
আল্লাহ আমাদের এই কাজে সাহায্য করুক। ।। আমিন ।।
Simulating an application interface for WhatsApp. এই উইন্ডোটিও ঠিক Facebook উইন্ডোর **উপরে একই স্থানে** খুলবে। আপনি এটিকে টেনে সরিয়ে অন্য জায়গায় রাখতে পারেন।
শোন হে মুসলমান,
রয়েছে তোমার সেই স্রষ্টায় ঈমান;
যিনি সত্য-সাম্য-ন্যায়ের প্রতীক,
মানুষকে দিয়েছে জ্ঞান যা সঠিক।
জালেমের প্রতি তিনি সদা আপোষহীন,
মজলুমে তিনি চির সহায়ক, নয় পরাধীন।
তবে কেন তুমি হস্ত মিলায়ে
রয়েছ জালেমে, রেখেছ হৃদয়ে?
দেখিতে কি পাওনা সেই সব মানুষেরে
যারা কাঁদিছে ক্ষুধায়, তব ত্রাণের তরে।
নিও বুকে তুলে মজলুম নিপীড়িত জনে,
ধর খড়গ জালেমের অসাড় নিষ্ঠুর মনে।
এসো, ভুলে যায় হিংসা-বিভেদ,
গড়ব এদেশ সুগঠিত, অভেদ।
"I Have a Dream" is a very eloquent speech by Martin Luther King Jr. It is a 17-minute public speech delivered on August 28, 1963, in which King called for racial equality and an end to discrimination. The speech was ranked the top American speech of the 20th century by a 1999 poll of scholars of public address.
☞ Here is an extract of the speech:
''I have a dream that one day this nation will rise up and live out the true meaning of its creed: "We hold these truths to be self-evident, that all men are created equal."
I have a dream that one day on the red hills of Georgia, the sons of former slaves and the sons of former slave owners will be able to sit down together at the table of brotherhood.
I have a dream that one day even the state of Mississippi, a state sweltering with the heat of injustice, sweltering with the heat of oppression, will be transformed into an oasis of freedom and justice.
I have a dream today!
সত্যের কোন নির্দিষ্ট দিন-কাল-পাত্র হয় না। পৃথিবী এবং তার মধ্যকার সমস্ত সৃষ্টিজগৎ সত্যের সাক্ষ্য বহন করে। মহান সৃষ্টিকর্তা মানুষের মধ্যে সত্য ও মিথ্যা পার্থক্য করার ক্ষমতা দিয়েছেন। তাই প্রতিটি মানুষই কিছুটা ভালো এবং কিছুটা মন্দ নিয়েই জীবন অতিবাহিত করছেন। যাদের মধ্যে মন্দের ভাগ বেশি, আমরা তাদেরকে খারাপ হিসাবেই চিনি; এবং যাদের মধ্যে ভালোর অংশ বেশি, তাদেরকে আমরা ভালো হিসেবেই পরিগণিত করি।
সুতরাং যুক্তি এটারই সাক্ষ্য বহন করে যে, মন্দ ব্যক্তিদের মধ্যেও ভালো কিছু থাকে এবং ভাল ব্যক্তিদের মধ্যেও মন্দ কিছু থাকে। শুধুমাত্র এরই কারণে একজন ব্যক্তিকে ভালো এবং অপরকে খারাপ অভিহিত করা যায় না। তাই আমাদের উচিত প্রত্যেকের মধ্য থেকে ভালো জিনিসটি গ্রহণ করা এবং তাদের মন্দ জিনিস গুলো এড়িয়ে যাওয়া। তবেই আমরা ভালো জিনিসটি অর্জন করতে পারব।
কিন্তু বর্তমানে এটা খুবই পরিলক্ষিত হয় যে, মানুষ অন্য ব্যক্তির কিছু খারাপ ব্যবহারের কারণে তার সমস্ত ভালো কাজ অস্বীকার করে থাকে। এর জন্যই পরস্পরের মধ্যে দূরত্বভাব সৃষ্টি করে। ভালো লোকেরা একত্রিত হতে পারেন না। মন্দ লোকেরাই সমস্ত ক্ষমতার অধিকারী হয়ে যায়।
তাই আমার মতে আমাদের আরো বেশি বেশি উদার হওয়া প্রয়োজন। প্রত্যেক অপেক্ষাকৃত ভালো লোকেদের সঙ্গে আমাদের সংস্পর্শ, আলোচনা এবং সু-সম্পর্ক রাখা প্রয়োজন। এতে করে আমরা সকলের মধ্য হতে ভালো জিনিসটি গ্রহণ করতে পারব।
অপর দিকে যদি আমরা কারো ছোট্ট একটি ভুলকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে হিংসা এবং শত্রুতাভাবাপন্ন সৃষ্টি করি, তাহলে কখনই ভাল লোকের সমাবেশ সম্ভব হবে না।
আসুন আমরা নিজেদেরকে গড়ার চেষ্টা করি। আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে উদারতা এবং অপরকে সম্মান করতে শিখি। পরস্পরের সহিত সুসম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব গড়ে তোলার চেষ্টা করি।
তবেই আমরা একটি সুসংগঠিত এবং সুন্দর সমাজ গঠন করতে পারব।