মানুষকে প্রকৃত অর্থে মানুষ করে তোলে শিক্ষার আলো। তবে শিক্ষা কেবল জ্ঞান অর্জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর সঙ্গে যুক্ত থাকে নৈতিকতা, আদর্শসঠিক চরিত্র গঠন। জ্ঞান অর্জন মানুষকে বিদ্বান করতে পারে, কিন্তু চরিত্র তাকে মহান করে তোলে।

আজকের সমাজে দেখা যায় অনেক শিক্ষিত ব্যক্তি জ্ঞান অর্জন করেছেন, কিন্তু চরিত্রের দিক থেকে দুর্বল। তারা নিজেদের স্বার্থে অন্যের ক্ষতি করে, অনৈতিক কাজকে সমর্থন করে, সমাজকে অশান্তির দিকে ঠেলে দেয়। কারণটি হলো—শিক্ষার সঙ্গে চরিত্র গঠনের সমন্বয় ঘটেনি।

  • চরিত্রবান মানুষ সর্বদা সত্যবাদী, পরোপকারী ও ন্যায়পরায়ণ।
  • তারা কেবল নিজের উন্নতির কথা ভাবে না, বরং সমাজ ও দেশের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করে।
  • ইতিহাসে যারা মহান চরিত্রের অধিকারী ছিলেন—তারা স্থায়ী সম্মান পেয়েছেন।

শিক্ষা যদি চরিত্র গঠনে সাহায্য না করে, তবে সেই শিক্ষা অকল্যাণ বয়ে আনে—যেমন দুর্নীতি, লোভ, হিংসা, মিথ্যাচার। অপরদিকে সৎ চরিত্রসম্পন্ন শিক্ষিত ব্যক্তি সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করে, শান্তি ও উন্নতির পথ প্রশস্ত করে।

সংক্ষেপে, শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো মানুষের ভেতরে মানবিক গুণাবলি জাগ্রত করা এবং তাকে নৈতিকতার পথে পরিচালিত করা। শুধুমাত্র বিদ্যা অর্জন মানুষকে পূর্ণতা দেয় না; প্রকৃত পূর্ণতা আসে শিক্ষার সঙ্গে চরিত্র গঠনের সমন্বয়ে